
“সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার”। স্নেহের শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক ও প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আন্দুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি যশোর জেলার সীমান্তে বাঘারপাড়া উপজেলাধীন, ৫নং ধলগ্রাম ইউনিয়নের আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে অবস্থিত। এলাকার গুণীজনদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষিত যুবক সমাজ- সামাজিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটিয়ে চলেছে। তারা শুধু পুঁথিগত বিদ্যা ও কাগজি সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ রাষ্ট্রের উচ্চ উচ্চ পদে আসীন হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আন্তরিকতা এবং মূল্যবোধ জাগরণের মাধ্যমে তারা আজ এলাকার গরীব- দুঃখীজন এবং দুঃস্থদের সাহায্যার্থে সাহায্যের হাত প্রসারিত রেখেছে। কো-কারিকুলাম এ্যাক্টিভিটিজ ও সংস্কৃতি চর্চায় তারা এলাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে অনেকে জাতীয় ও কেউ কেউ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্মান বয়ে এনেছে। বিদ্যালয়ের গৌরবগাঁথা সফলতার ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
স্নেহের শিক্ষার্থীবৃন্দঃ প্রবাদে আছে, নিত্য ঘষায় পাথর ক্ষয়”। তাই আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিয়মিত অধ্যবসায়ে একজন দুর্বল শিক্ষার্থীও সফলতার সন্ধান পায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত কারিকুলাম এর ভিত্তিতে সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশুনায় বিদ্যালয়ের কোনো বিকল্প নেই। তোমাদের শিক্ষকগণ যেমন সুশিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত, তেমনি নতুন কারিকুলামলব্ধ। তাই কোনো বিকল্প না ভেবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণের সান্নিধ্যে পাঠ গ্রহন করে নিজেদেরকে আরো শাণিত করো। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার সুবর্ণ সময়কে হেলায় অতিবাহিত ক’রো না। পৃথিবীতে মহাপুরুষগণ যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিয়মিত ছাত্র ছিল। করুণা নয়, শিক্ষা তোমাদের অধিকার। সুতরাং পাঠের কোন বিষয় দুর্বোধ্য মনে হলে জ্ঞানভাণ্ডারে ভরপূর শিক্ষকগণকে প্রশ্ন করে জেনে নিও। শিক্ষকগণ তোমাদের প্রতি সবখানে সবসময় আন্তরিক।
সম্মানীত অভিভাবকবৃন্দঃ আপনাদের প্রানের চেয়েও প্রিয় শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে সুন্দর ও কাংখিত রূপে রূপায়নের মানসে নির্দ্বিধায় অর্পণ করেছেন আমাদের কাছে। আমরা শিক্ষকগণ আমাদের মেধা, মনন ও আন্তরিকতা দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা করি। আপনারা হয়তো এক বা দুজনের অভিভাবক। আমরা অগণিত সন্তান-সন্তুতির অভিভাবক। সবাই ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ এবং ভিন্ন ভিন্ন পরিবার হতে আসে। এক্ষেত্রে শিক্ষকগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সফলতা আনায়ন করা অত্যন্ত দূরূহ। দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় টুকু তারা আমাদের বিদ্যালয় চত্ত্বরে অবস্থান করে ঠিকই, কিন্তু অধিকাংশ সময় আপনাদের কাছে থাকে। তাই তাদের শ্রিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে, বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃংখলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের আন্তরিক ও অফুরন্ত ধন্যবাদ। আপনাদের প্রাণের স্পন্দন, প্রিয় সন্তানটি স্কুল প্রদত্ত কাজ নিয়মিত করে কি-না, সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে কি-না খেয়াল করার বিনীত অনুরোধ করছি। বিদ্যালয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন বলে আশা রাখি।
প্রিয় সহকর্মীবৃন্দঃ বিগত বছরগুলোতে বিদ্যালয়ের সকল সফলতার জন্য আপনাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে সারণ করি। আমাদের মেধা, মনন, দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক আদর্শ সন্তানরূপে তোলেন। সরকার প্রদত্ত নতুন শিক্ষানীতি ও নির্দেশনা আপনারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমাকে কৃতজ্ঞতাবদ্ধে পাশে রেখেছেন। আশা করি আগামী দিনগুলোতেও আপনাদেরকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাছে পাব। সুখে-দুঃখে আমরা পরস্পর এক শিক্ষা পরিবার হয়ে চিরকাল হাতে হাত ধরে চলব।
পরিশেষে আগামীর পথ সকলের জন্য মঙ্গলময়, সুখময় ও আনন্দময় হোক এ কামনা করি।
প্রধান শিক্ষক
আন্দুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বাঘারপাড়া, যশোর।